ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর শনি সাড়েসাতি রিপোর্ট

শনি সাড়েসাতি: উদয় পর্যায়

ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএর শনির সাড়ে সতি শুরু হতে চলেছে এই সময় থেকে। এই সময় থেকে শনি চাঁদের থেকে ১২তম অবস্থানে পরিগ্রমন করা শুরু করবে। এর পরিনাম স্বরূপ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি, লুকোনো শত্রুর দ্বারা ক্ষতি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া, দারিদ্র এবং বিরোধের সম্মুখীন হওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এই সময়কালে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর তার লুকোনো বা গোপন শত্রু দের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী দের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর ফল স্বরূপ ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএর কর্ম জীবনে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তিনি পারিবারিক জীবনেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, যা মানুষিক চাপ ও টেনশন সৃষ্টি করবে তার জীবনে। যদি তিনি তার ব্যয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন, তাহলে সেটি তার আর্থিক জীবনে বৃহত্তর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই সময়ে দূরে ভ্রমণ খুব একটা লাভদায়ক হবেনা। যেহেতু শনির স্বভাব হলো কাজে বাধা সৃষ্টি, তাই এই সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএর সহনশীল এবং ধৈর্যশীল হওয়া দরকার এবং ধীরে ধীরে ভালো সময় এলে তিনি কাজের সুফল পেতে শুরু করবেন। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর এই সময়টিকে শিক্ষাকাল হিসাবে গ্রহণ করা উচিত এবং ধীরে ধীরে তার কঠোর পরিশ্রম সঠিক সময়ে সঠিক ফল দেবে। কর্ম জীবনে তার এই সময় কোনো ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না।

শনি সাড়েসাতি: শিখর পর্যায়

এটি শনির সাড়ে সতীর একদম সর্বোত্তম অবস্থান। এই সময় শনির অবস্থান অত্যন্ত জটিল। ন্যাটাল মুন এর ওপর দিয়ে শনির গমন বেশ কয়েকটি বিষয় কে প্রভাবিত করে, যেমন শারীরিক সমস্যা, চরিত্র হনন, ব্যক্তিগত সম্পর্কে সমস্যা, মানুষিক পীড়া এবং বেদনা। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএই সময় কালে সহজে সাফল্যের সম্মুখীন হতে পড়বেন না। তিনি এই সময় নিজের কঠোর পরিশ্রমের ফল পাবেন না এবং এর ফলে তিনি মুষড়ে পড়তে পারেন। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএর শারীরিক এবং মানুষিক গঠন এই সময় দুর্বল থাকবে। যেহেতু প্রথম ঘরটি শরীর সম্পর্তকিত বিষয় গুলোকে প্রভাবিত করে, তাই এই সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর নিজের শরীরের প্রতি বিশেষ সচেতণ থাকা প্রয়োজন ও প্রাত্যহিক শরীর চর্চা করা উচিত, নাহলে তিনি দীর্ঘ রোগ ভোগের শিকার হতে পারেন। এই সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর ডিপ্রেশন এবং অকারণে ভয়ের সম্মুখীন হতে পারেন। সঠিক ভাবনা চিন্তার অভাব, নির্ধারণ ক্ষমতার অভাব এবং চিন্তা গুলোকে প্রয়োগ করার অক্ষমতার জন্য ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএর ইচ্ছা গুলো বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে এই সময়কালে। এই সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরআধ্যাত্মীকতার প্রতি বিষয়ে ভাবে আকৃষ্ট হবেন। এই সময় তাকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা প্রদর্শন করতে হবে অন্যের প্রতি এবং ন্যায়ের পথে এগিয়ে যেতে হবে, যা তাকে ধীরে ধীরে এই কঠোর সময় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

শনি সাড়েসাতি: অস্ত পর্যায়

এটি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর র শনির সাড়ে সতি দশার শেষ পর্যায়। শনি এই সময় ন্যাটাল মুন এর থেকে সরে আসবে দ্বিতীয় ঘরে, যা কয়েকটি আর্থিক এবং পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রভাব দেখাবে। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এই সময় অনেক স্বস্তি অনুভব করবেন কারণ এর আগে তিনি দুটি অত্যন্ত জটিল অধ্যায় কাটিয়ে এসেছেন। যদিও কিছু আর্থিক এবং ভুল বোঝাবুঝি জনিত সমস্যার সম্মুখীন তাকে হতে হবে এই সময়। এই সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর খরচ অনেটাই বেশি হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং সেই জন্য খরচে লাগাম টানা উচিত তার। অনিবার্য্য কারণে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি এবং চুরির সম্ভাবনা থাকতে পারে। এই সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএকটু হতাশা পূর্ণ হতে পারেন এবং তাই তাকে কাজে বিশেষ উদ্যমী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরএর এই সময় পরিবার এবং অন্যান্য নিজ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় এই বিষয় গুলোতেও তাকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর র স্টুডেন্টস দের জন্য এই সময়টি প্রভাবময় হবে এবং সেই জন্য তাদের বেশি পরিশ্রম করা উচিত যাতে তারা নিজেদের দক্ষতা অটুট রাখতে পারেন। এই সময় কাজের অনুরূপ ফলাফল তারা নাও পেতে পারেন বা ফলাফল পেতে সময় বেশি লাগতে পারে। অন্যন্য বিষয়ের সাথে সাথে এই সময় টিতে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে, তাই গাড়ি চানোর সময় ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এই সময় আমিষ না খাওয়া এবং মদ্যপান থেকে দূরে থাকা ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এর জন্য খুবই সহায়ক হবে কারণ এটি শনিকে খুশি রাখবে। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর এই কঠোর সময় টিকে সহজে কাটিয়ে উঠতে পারবেন যদি তিনি পারিবারিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রে সঠিক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন।